দেশের ৯৩ শতাংশ যুবসমাজ প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার ও সেবা সম্পর্কে জানে না। তারা অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা, সম্পৃক্তকরণ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি গঠনের কোনো বিকল্প নেই বলে অভিমত তাদের।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বেসরকারি এনজিও লাইট হাউজের আয়োজনে ও ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্প, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় মিডিয়া অ্যাডভোকেসি সভায় এসব অভিমত দেন তারা।

এ সময় জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী সাড়ে ৪ কোটির বেশি তরুণ ও যুব জনগোষ্ঠী রয়েছে। এ জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এসডিজি ও জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন সম্ভব।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দেশের বিশাল এই যুবসমাজকে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতিসহ সব বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে প্রযুক্তির জ্ঞান বেশি বেশি করে অর্জন করতে হবে তাদের।

অন্যথায় উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। সভায় জানানো হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে হলে সব বয়সী মানুষের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সবার অধিকার, বিশেষত প্রজনন অধিকার, নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সামাজিক রীতিনীতি ও বিশ্বাস অনেক ক্ষেত্রেই তরুণ প্রজন্মের প্রজনন অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবা বাধাগ্রস্ত করে। এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন আন্তঃপ্রজন্মের সংহতি ও সহযোগিতা।